আজকের আলোচনার বিষয় হলো স্বতন্ত্র ভাষা। কোনটি স্বতন্ত্র ভাষা তা সম্পর্কে জানতে হলে পুরো পো্স্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশাকরি আপনারা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি পাবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আলোচনা কোন ভাষাটি স্বতন্ত্র ভাষা
স্বতন্ত্র ভাষা বলতে এমন ভাষাকে বোঝানো হয় যার নিজস্ব ব্যাকরণ ভান্ডার আছে, নিজস্ব শব্দ ভান্ডার আছে, আলাদা উচ্চারণ রীতি আছে। স্বতন্ত্র ভাষা বলতে যে ভাষা নিদিষ্ট একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে ব্যবহার করা হয়। কোনটি স্বতন্ত্র ভাষা
স্বতন্ত্র ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে যেমন আলাদা ব্যাকরণিক নিয়ম থাকে যা অন্য ভাষার থেকে আলাদা । সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য: স্বতন্ত্র ভাষার নিজস্ব সাহিত্যিক ধারা ও সাংস্কৃতিক উপাদান থাকে যা সেই ভাষার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে।
যেমন, সংস্কৃত একটি প্রাচীন ভারতীয় ভাষা যা আর্য পরিবারের । এটি ভারতীয় শাস্ত্রীয় ভাষা এবং বেদের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে এটি এখন আর দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ও অন্য কোথাও দেখা যায় না এবং এটি একটি মৃত ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও এটি শিক্ষাগত ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণমালা ছিল না। সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই। যে অঞ্চলে এর চর্চা হয়েছে সেই অঞ্চলে প্রচলিত বর্ণমালাই এতে গৃহীত হয়েছে। তবে নাগরী বা দেবনাগরী বর্ণমালা সংস্কৃতের জন্য ব্যাপকভাবে গৃহীত, বোধ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
বাংলা একটি স্বতন্ত্র ভাষা
বাংলা একটি স্বতন্ত্র ভাষা যা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত। এটি আধুনিক ইন্দো-আর্য ভাষার একটি উদাহরণ এবং এটি বাংলাদেশের প্রধান ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি নিজস্ব ব্যাকরণ, শব্দভান্ডার, উচ্চারণ ও সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। আপনারা এরূপ আরো যদি প্রশ্ন জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন কিছু জানানোর।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ), বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
Leave a Reply